শ্রীলংকা সফরে অধিনায়ক তামিম

শ্রীলংকা সফরে অধিনায়ক তামিম

শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে যখন এসেছিলেন, তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল ফিটনেস নিয়ে। বলেছিলেন, দুই দিন অনুশীলন করেছেন। সমস্যা হয়নি কোনো। তখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় অনুশীলনে বোলিং করতে গিয়ে পড়লেন চোটে। এখন জানা যাচ্ছে, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকায় যাওয়া হচ্ছে না মাশরাফি বিন মুর্তজার।সেটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। চোটের জন্য ছিটকে গেছেন সাইফ উদ্দিনও। মাশরাফি ও সাইফের বদলি হিসেবে এসেছেন ফরহাদ রেজা ও তাসকিন আহমেদ। 

ক্যারিয়ারের একটা সময় চোটের সঙ্গে নিয়মিত লড়াই ছিল মাশরাফির। ২০১৪ সালের শেষে পাকাপাকিভাবে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন, এরপর থেকেও ছোটোখাটো সমস্যা ছিল চোটের। হাঁটুর পুরনো চোট তো নিয়মিত সঙ্গী, এছাড়া হ্যামস্ট্রিংসহ আরও কিছু সমস্যা ছিল সবসময়। তবে সেসব উপেক্ষা করেছেন খেলেছেন নিয়মিত। এর মধ্যে কোনো সিরিজ মিস তো দূরে থাক, ম্যাচও করেননি। তবে এবার পুরো একটা সিরিজ মিস করছেন।

শ্রীলংকার উদ্দেশে দল রওনা দেবে আগামীকাল শনিবার। তার আগে আজ ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। সেখানেই চোটটা পেয়েছেন মাশরাফি। বিসিবি চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী অবশ্য বিকেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মাশরাফির চোট বেশ ভালোই। শ্রীলংকায় যেতে পারবেন কি না সেটি সেই মুহূর্তে বলতে পারছিলেন না। তবে নির্বাচক মিনহাজুল নিশ্চিত করেছেন, মাশরাফির চোট যেরকম গুরুতর, সেক্ষেত্রে তার শ্রীলংকায় দলের সঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরে ড. দেবাশীষও বলেছেন, মাশরাফির বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ে যে চোট পেয়েছেন, সেটি গ্রেড ওয়ান। যার মানে তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। 

 সাকিবও এর মধ্যে এই সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন। পরে বিসিবি নিশ্চিত করেছে, এই সিরিজের জন্য তামিম ইকবালই থাকছেন অধিনায়ক। এর আগে ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেই শুধু বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তামিম। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে দলকে দেশের হয়ে টস করতে নামেননি এখনো।

এদিকে পিঠের পুরনো চোটের জন্য এই সফরে যাওয়া হচ্ছে না সাইফ উদ্দিনেরও। এই চোটের জন্য বিশ্বকাপে এক ম্যাচে খেলতে পারেননি, আজ আবার অনুশীলনে পেয়েছেন চোট। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দলে থাকা ফরহাদ রেজা ও তাসকিন আহমেদের ভাগ্য তাই খুলেছে। 

২০ জুলাই রওনা দেওয়ার পর ২৬ জুলাই প্রথম ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ২৮ ও ৩১ জুলাই হবে পরের দুইটি ওয়ানডে।  

Post a Comment

0 Comments