এক সাংবাদিক কাল রসিকতা করেই বললেন, ‘রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে ভালোই লাভ হলো বিসিবির’। কোচের বাজারে হাই প্রোফাইলরা যে ‘দাম’ হাঁকছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকান কোচকে বেছে নিয়ে টাকার অঙ্কে একটু লাভই হয়েছে বিসিবির।
ট্যাক্স বা আয়কর বাদে ডমিঙ্গো মাসে পাবেন ১৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি, টাকায় যেটি ১২ লাখ ৬৮ হাজার। আয়করসহ প্রোটিয়া কোচের বেতন দাঁড়াবে ১৮ হাজার ডলারের মতো। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে কোচদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পেয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কান কোচ মাসে পেতেন ২৫ হাজার ৮০০ ডলার, টাকায় যেটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার। বছরে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগেই বলা হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ কোচ স্টিভ রোডসকে বিসিবি দিত ২২ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। সে তুলনায় ডমিঙ্গোকে কমেই পেয়েছে বিসিবি।
অবশ্য আরও খরচ করতে নাকি আপত্তি ছিল না বিসিবির। সে কারণেই তারা পেতে চেয়েছিল মাইক হেসনকে। ভারতের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দেওয়া হেসন বিসিবির কাছে পারিশ্রমিকটা অবশ্য একটু বেশিই চেয়ে ফেলেছিলেন, মাসে যেটি ৩০ হাজার ডলারেরও (২৫ লাখ টাকা) বেশি। তার শর্তও ছিল অনেক। আগামী ৩-৪ মাসের আগে কাজে যোগ দিতে পারবেন কি না, এটি নিয়েও ছিল সংশয়। বেতন চাচ্ছেন বেশি, কবে আসবেন সেটিও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না—বিসিবি কেন হেসনের জন্য বসে থাকবে! ডমিঙ্গোকে তাই দ্রুত নিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশে আসা বিদেশি কোচিং স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা দুই রকম। কেউ গুলশান-বনানীতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন, কেউ আবার হোটেলে থাকেন। তাঁরা যেখানেই থাকুন, ভাড়াটা বিসিবিই দিয়ে থাকে। ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। সাবেক এ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বিশ্বমানের ইনস্যুরেন্স পাবেন, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় কিংবা কোচ পেয়ে থাকেন। চালকসহ ২৪ ঘণ্টা গাড়ি থাকবে তাঁর জন্য। শুধু নিজেই নন, কোচের পরিবারের জন্য থাকবে ভ্রমণভাতা। সঙ্গে যোগ হবে বোনাস। সাধারণত বোনাস তো আছেই, থাকবে সফর, ম্যাচ, পারফরম্যান্স বোনাসও। কখনো কখনো সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীও থাকবে, তবে সেটি নির্ভর করছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর। বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে পা রেখেই ডমিঙ্গো পরিচিত পরিবেশ পাবে, কোচিং স্টাফে যে আরও তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ আছেন—ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্ট আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
টাকার অঙ্কে লাভ-লোকসান কতটা হলো, সেটি নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বাংলাদেশ কতটা সাফল্য পায়, সেটির ওপর নির্ভর করবে ডমিঙ্গোকে এনে বিসিবির কতটা লাভ হলো।
অবশ্য আরও খরচ করতে নাকি আপত্তি ছিল না বিসিবির। সে কারণেই তারা পেতে চেয়েছিল মাইক হেসনকে। ভারতের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দেওয়া হেসন বিসিবির কাছে পারিশ্রমিকটা অবশ্য একটু বেশিই চেয়ে ফেলেছিলেন, মাসে যেটি ৩০ হাজার ডলারেরও (২৫ লাখ টাকা) বেশি। তার শর্তও ছিল অনেক। আগামী ৩-৪ মাসের আগে কাজে যোগ দিতে পারবেন কি না, এটি নিয়েও ছিল সংশয়। বেতন চাচ্ছেন বেশি, কবে আসবেন সেটিও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না—বিসিবি কেন হেসনের জন্য বসে থাকবে! ডমিঙ্গোকে তাই দ্রুত নিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশে আসা বিদেশি কোচিং স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা দুই রকম। কেউ গুলশান-বনানীতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন, কেউ আবার হোটেলে থাকেন। তাঁরা যেখানেই থাকুন, ভাড়াটা বিসিবিই দিয়ে থাকে। ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। সাবেক এ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বিশ্বমানের ইনস্যুরেন্স পাবেন, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় কিংবা কোচ পেয়ে থাকেন। চালকসহ ২৪ ঘণ্টা গাড়ি থাকবে তাঁর জন্য। শুধু নিজেই নন, কোচের পরিবারের জন্য থাকবে ভ্রমণভাতা। সঙ্গে যোগ হবে বোনাস। সাধারণত বোনাস তো আছেই, থাকবে সফর, ম্যাচ, পারফরম্যান্স বোনাসও। কখনো কখনো সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাকর্মীও থাকবে, তবে সেটি নির্ভর করছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর। বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে পা রেখেই ডমিঙ্গো পরিচিত পরিবেশ পাবে, কোচিং স্টাফে যে আরও তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ আছেন—ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গেভেল্ট আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক।
টাকার অঙ্কে লাভ-লোকসান কতটা হলো, সেটি নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বাংলাদেশ কতটা সাফল্য পায়, সেটির ওপর নির্ভর করবে ডমিঙ্গোকে এনে বিসিবির কতটা লাভ হলো।
0 Comments
Thank you