নিষিদ্ধ হলেন হাফিজ

বোলিংয়ের অ্যাকশন কোনোভাবেই ঠিক করে উঠতে পারছেন না মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আবারও নিষিদ্ধ হলেন। এবার তাঁকে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ কয়েকবার নিষিদ্ধ হয়েছেন হাফিজ। অ্যাকশন শুধরে পরে ফিরলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। বোলিং অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হওয়া যেন ৩৯ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের নিয়মে পরিণত হয়েছে! প্রশ্ন উঠতেই পারে, আর কত নিষিদ্ধ হবেন ‘বোলার’ হাফিজ?

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্সের বদলি হিসেবে হাফিজকে নিয়েছিল মিডলসেক্স। গত ৩০ আগস্ট টন্টনে ভিটালিটি ব্লাস্ট টুর্নামেন্টে সমারসেট-মিডলসেক্স ম্যাচে হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন আম্পায়াররা। পরে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি পাকিস্তান জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটার। ডেলিভারির সময় তাঁর কনুই ১৫ ডিগ্রি সীমারেখা ছাড়িয়ে যায়। স্বাধীন বোলিং রিভিউ কমিটি কাল লর্ডসে শুনানির পর ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নিষিদ্ধ করেছে হাফিজকে। অ্যাকশন শুধরে নিতে পারলে আবারও বল করতে পারবেন তিনি।

এক বিবৃতিতে হাফিজ বলেন, ’ইসিবির বোলিং রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছি। পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকলেও, যা বোলিং রিভিউ কমিটি অনুমোদন করেছে, আর এ প্রতিবেদন বিশ্বের পরীক্ষিত একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আমার সুনামের ক্ষতিসাধন করলেও তা মেনে নিয়েছি। ইসিবির নিয়ম অনুযায়ী আইসিসি অনুমোদিত সেন্টারে স্বাধীনভাবে (বোলিং অ্যাকশন) বিশ্লেষণের জন্য আমি প্রস্তুত।’


হাফিজ তাঁর ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে অনেকবারই অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর অ্যাকশন নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল ২০০৫ সালে, নিষিদ্ধ হয়ে আবার ফিরেও এসেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট ও ২১৮ ওয়ানডে খেলা হাফিজ গত বিশ্বকাপের পর থেকে পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে রয়েছেন।


Post a Comment

0 Comments