‘ব্যাগি গ্রিন’ টেস্ট ক্যাপটিকেই নিজের মহামূল্যবান সম্পদ হিসেবে মনে করেন পন্টিং

প্রায় আড়াই দশক আগে অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৬তম খেলোয়াড় হিসেবে ‘ব্যাগি গ্রিন’ ক্যাপটা অর্জন করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক রিকি পন্টিং। যা তিনি নিজের মাথায় রেখেছেন প্রায় ১৬টি বছর।
‘ব্যাগি গ্রিন’ টেস্ট ক্যাপটিকেই নিজের মহামূল্যবান সম্পদ হিসেবে মনে করেন পন্টিং

এই মর্যাদাপূর্ণ টেস্ট ক্যাপটিকেই নিজের মহামূল্যবান সম্পদ হিসেবে মনে করেন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাগি গ্রিন তথা টেস্ট ক্যাপের মূল্য অনেক বেশি। দেশের হয়ে টেস্ট খেলতে পারার যে গৌরব, তারই একটা স্মারক এই ব্যাগি গ্রিন।

আর পন্টিংয়ের কাছে এই ক্যাপের মূল্য যেন সর্বাধিক। তাই তো ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর- ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় এই এক ক্যাপ পরেই খেলেছেন অসি অধিনায়ক। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সবুজ ক্যাপের রঙ হয়েছে ধূসর, ছিঁড়েও গেছে কয়েকজায়গায়।

তবু এর মূল্য কমেনি পন্টিংয়ের কাছে। বরং অবসরের পর যেন আরও বেড়েছে এই ক্যাপের প্রতি টান। তাই তো অবসরের এতদিন পরেও ব্যাগি গ্রিনের ব্যাপারে আগের মতোই আবেগপ্রবণ পন্টিং। তবে অবসরের পর তাকে নতুন আরেকটি ব্যাগি গ্রিন উপহার দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দুইটি ক্যাপই পরম যত্নে আগলে রেখেছেন পন্টিং।

এই ব্যাগি গ্রিন যে তার মূল্যবান ধন, এ কথার জানান তিনি দিয়েছেন দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টুইটারে ক্যাপ দুইটির ছবি আপলোড করে পন্টিং লিখেছেন, ‘এটিই আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মারক। যা অবসরের পর রিয়ানা (পন্টিংয়ের স্ত্রী) এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয় আমাকে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাম পাশে একদম নতুন ক্যাপ এবং ডানদিকে আমার গর্ব, আমার খুশির ব্যাগি গ্রিন। যদিও ১৪০টির (১৬৮) বেশি টেস্ট খেলায় এর অবস্থা খুব বেশি ভালো নেই।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দলের দুই তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম এবং সাকিব আল হাসান- দুজনই নিজেদের অভিষেক টেস্টের ক্যাপ পরে খেলছেন এখনও। তবে এর মধ্যে আবার সাকিবের টেস্ট ক্যাপ নিয়ে রয়েছে ভিন্নরকম গল্প।

এতদিন ধরে যে টেস্ট ক্যাপটি ব্যবহার করছেন সাকিব, তা মূলত তার নিজের অভিষেকের ক্যাপ নয়। তিনি এটি চেয়ে নিয়েছেন সতীর্থ আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ক্যাপটা যখন নতুন ছিলো তখন এটি ঠিকভাবে মাথায় বসতো না সাকিবের।

যে কারণে তিনি চেয়ে নেন রাজ্জাকের ক্যাপটি। দেখেন একদম ভালোভাবেই তার মাথায় বসেছে ক্যাপটি। পরে রাজ্জাকের ক্যাপেই নিজের নাম লিখে নেন সাকিব এবং প্রায় এক যুগ ধরে ধরে এটি মাথায় চাপিয়েই টেস্ট খেলতে নামেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

Post a Comment

0 Comments