আর কিছুদিন পর আইপিএল



মার্চের শেষদিকে শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএলের। কিন্তু এর মাঝেই ছোবল হানল করোনাভাইরাস। যেখানে জীবন নিয়েই টানাটানি, সেখানে ক্রীড়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করার যৌক্তিকতা কতটুকু? তাও, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে শুরু হয়েছে অন্যান্য অনেক ক্রীড়া টুর্নামেন্ট। সেই পথে হাঁটতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (আইপিএল)।

জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে আইপিএল। তবে ভারতের এই টুর্নামেন্ট নিজ দেশে হতে পারবে না, হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। চলবে ৫১ দিন ধরে, নভেম্বরের আট তারিখে হবে ফাইনাল। চূড়ান্ত সময়সূচি নির্ধারণ করার জন্য আইপিএলের পরিচালনা পর্ষদ আগামী সপ্তাহে সভা করবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যেই আইপিএলের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই ব্যাপারে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

বিসিসিআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে শুরু হবে আইপিএল। ফাইনাল হবে নভেম্বরের আট তারিখে। ৫১ দিনব্যাপী এই সময়সীমা সকল ফ্র্যাঞ্চাইজি ও তাদের ব্রডকাস্টার, শেয়ারহোল্ডারের জন্য যথোপযুক্ত হবে।’


এ বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত করে পরবর্তী বছরে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এই বছরে আইপিএল আয়োজন করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নভেম্বরের আট তারিখে আইপিএল শেষ হলে আইপিএল খেলে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থেকে ৩ ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলতে পারবে ভারতীয় খেলোয়াড়েরা, ‘অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিয়মানুযায়ী ভারত যখন অস্ট্রেলিয়ায় যাবে তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো ৫১ দিন ধরে আইপিএল চলার অর্থ কোনোভাবেই শিডিউল কমানো হচ্ছে না। এক দিনে দুই ম্যাচ খুব কম দিনেই হবে। আমরা আমাদের মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী সাত সপ্তাহে আইপিএল শেষ করতে পারব।’

আবুধাবি, দুবাই ও শারজাহ—এই তিন ভেন্যুতে আইপিএল আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই। অধিকাংশ ম্যাচই রাতে হবে। আগস্টের বিশ তারিখ থেকে আইপিএলের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে, অর্থাৎ তারা একদম এক মাস সময় পাচ্ছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।







Post a Comment

0 Comments