টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল ভারত। বিশ্বকাপের দেরি নেই। আগামী বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগেই নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে জেতাই ভারতের শক্তির জায়গা। তাই আগে ব্যাট করে ম্যাচ জেতার পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল আজ। সে পরীক্ষার ফল অবশ্য ইতিবাচক হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে ভারত। ১-১ সমতাতে শেষ হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
রান তাড়া করায় বিরাট কোহলির ওপর কেউ নেই। সে সঙ্গে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান তো আছেই। কিন্তু ইনিংস গড়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা কিংবা বোলারদের পুঁজি নিয়ে লড়ার পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ভারত। আজ শুরুটা খারাপ ছিল না। তৃতীয় ওভারেই বিউরান হেন্ডরিকসের বলে রোহিত বিদায় নেওয়ার পরও ভালোই এগোচ্ছিল ভারতের ইনিংস। পাওয়ার প্লেতেই ৫৪ রান এসেছে। ৭ ওভার শেষেও ১ উইকেটে ৬২ রান ছিল ভারতের। সেই দল কিনা শেষ ১৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ৭২ রান।
ধাওয়ান (৩৬) আউট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদায় হয়েছেন কোহলি (৯)। ভারতের ইনিংসে আর গতি আসেনি। ধুঁকে ধুঁকে ভারত শেষ ওভারেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। ৯ উইকেটে ১৩৪ রান তোলার পথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছে রবীন্দ্র জাদেজা ও ঋষভ পন্তের ব্যাট থেকে। ৩৯ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন রাবাদা। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট হেন্ডরিকসের। এদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য চায়নাম্যান শামসি। প্রথম ২ বলে দুই ছক্কা খেয়ে শুরু করা শামসি ৪ ওভারে স্পেলে আর মাত্র ১১ রান দিয়ে পেয়েছেন ধাওয়ানের উইকেট।
১৩৫ রানের লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি ককের ঝড়ে টালমাটাল ভারতীয় বোলিং আক্রমণ কোনো সুযোগই পায়নি। দলকে ৭৬ রানে রেখে রীজা হেন্ডরিকস (২৮) ফিরে গেলেও প্রোটিয়াদের কোনো সমস্যা হয়নি। ৫২ বলে অপরাজিত ৭৯ রান করে ডি কক ১৯ বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন। অন্যপ্রান্তে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন টেন্ডা বাভুমা।
0 Comments
Thank you